
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হলেও গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানজট ও ভোগান্তির আরেক নাম হয়ে উঠেছে। সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ বাজার পরিস্থিতিকে আরও সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিশেষ করে চান্দনা চৌরাস্তা, ভবানীপুর, বাঘের বাজার, মাওনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস থেকে নামার পরপরই যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হাঁটার জন্য সামান্য জায়গা থাকলেও সেটি দখল করে রেখেছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো এলাকা বাজারে পরিণত হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে মূল সড়কেও। ফলে পথচারীদের বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
এছাড়া, টঙ্গি বাজার, স্টেশন রোড, কলেজ গেট, মালেকের বাড়ি, ভোগরা, সালনা, ভবানীপুর, মাস্টারবাড়ি, নয়নপুরসহ প্রায় ৪৫ কিলোমিটারজুড়ে ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে চলছে বেচাকেনা। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, "ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বাজার বসার অভিযোগ পেয়েছি। ইজারাদারদের সতর্ক করেছি এবং হাইওয়ে পুলিশ, ট্র্যাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি, যেন মহাসড়কে কোনো বাজার না বসে এবং মানুষের চলাচলে সমস্যা না হয়।"
এদিকে, সালনা হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহমেদ জানান, "ভবানীপুর ও বাঘের বাজারে প্রতিদিনই বাজার বসে। আমরা অভিযান চালিয়ে তা উচ্ছেদ করি, কিন্তু আমাদের চলে যাওয়ার পরপরই ব্যবসায়ীরা ফের রাস্তা দখল করে বাজার বসিয়ে ফেলে।"
তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ প্রধানের কড়া নির্দেশ রয়েছে—মহাসড়কে কোনো ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার কিংবা বাজার বসতে দেওয়া হবে না, যাতে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়া, চুরি ও ছিনতাই রোধে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
সড়কের এ অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পথচারীরা। তাদের দাবি, শুধু অভিযান চালালেই হবে না, ভ্রাম্যমাণ বাজার স্থায়ীভাবে উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর