
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় একঘণ্টা ধরে চলে।
বেইজিং শীর্ষ বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে চীনা ঋণের সুদহার কমানো, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গ। এসব বিষয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভূমিকা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সকাল ৮টায় বেইজিং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে দুই নেতার মধ্যে হয় এই বৈঠক।
পরে এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি আজ শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেছেন।
শফিকুল আলম তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি অত্যন্ত সফল দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়েছে। ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।’
শফিকুল আলম আরও লিখেছেন, ‘শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি চীনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শি জিনপিং বলেছেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ উৎসাহিত করবে চীন। চীনা উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে স্থানান্তরকে উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশের উত্থাপিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চীন ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে। এর মধ্যে চীনা ঋণের সুদের হার হ্রাস ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার বিষয় রয়েছে।’
শি জিনপিংয়ের পর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিনিয়োগ সংলাপে যোগ দেন অধ্যাপক ইউনূস। নিজ বক্তব্যে জানান নতুন বাংলাদেশ গড়ায় চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান। তুলে ধরেন দেশের বিনিয়োগ-বান্ধব নানা সুযোগ সুবিধার কথা। বলেন, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কথা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে গত বুধবার চীনে যান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর