
বাগেরহাটে ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা শাশুড়িকে ভিটে ছাড়া, ননদকে মারধর ও দেবরকে হত্যার হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অসহায় ওই বৃদ্ধা মা কানন বালা দাস। কানন বালা দাস বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিষখালী গ্রামের সুনীল কুমার দাসের স্ত্রী । এ সময় কানন বালা দাসের ছেলে জগবন্ধু দাস ও মেয়ে কৃষ্ণাদাস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধার ছেলে জগবন্ধু দাস তার মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকে আমার মেজো ভাই বাদল দাস ও স্ত্রী দিপা বালা দাস জোর পূর্বক বাড়ি থেকে বের বের করে দিয়েছে। এখন মায়ের বসত ঘর দখলের চেষ্টা, সম্পত্তি আত্মসাৎ, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনসহ আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এসময় মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে জগবন্ধু দাস আরও বলেন, ২০১০ সাল থেকে আমার ভাই বাদল দাস পরিবারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে। ২০১৬ সালে বাদল দিপা বালা দাসকে বিয়ে করে ঘরে আনলে পরিবার তাকে গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে দিপার অসৎ আচরণ ও পারিবারিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা শুরু হয়। ২০১৮ সালে বাদল ও দিপা স্থানীয় বিনয় দাসের সহযোগিতায় আমার মা কানন বালার ১৩ শতক জমির ২ লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে এবং জমিতে জোর করে ঘর নির্মাণ করে।
পরবর্তীতে এই বিনয় দাসের নামেই ধর্ষণ মামলা দেয় এই দিপা।
জগবন্ধু দাস আরও বলেন, দিপা দাস সুযোগ বুঝে নিজের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের সাথে সখ্যতা করে তোলে একপর্যায়ে যে কোন অজুহাতে তাকে ব্লাগ মেইল করে। যদি কারো সাথে মতের অমিল হয় তার বিরুদ্ধে জুড়িয়ে দেয় মিথ্যা মামলা। তার মিথ্যা মামলা ও অভিযোগে আমরাসহ অনেক নিরীহ পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এই দিপা দাস বিগত ২ বছরে বাগেরহাটে ১০টির উপর বাসা পরিবর্তন করেছে। বাগেরহাটে ও পার্শ্ববর্তী মানুষের সাথে বিরোধ হওয়ায় দিপাকে নিয়ে থানায় একাধিকবার সালিশ এর ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে আমার মাকে ভালোভাবে রাখবার জন্যে আমি ও আমার বড় ভাই ডা. বিষ্ণু দাস বসতঘর নির্মাণ করে দেই। তারা আমার মাকে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে দিয়ে বসত ঘরে বসবাস শুরু করে ও ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ফার্নিচার বিক্রি করে প্রায় ৫লক্ষ টাকা ক্ষতি করে।
এই দিপা নিজের সম্পত্তি বলে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক ৫দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তাদের সাথেও খারাপ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ও হুমকি প্রদান করে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃদ্ধা কানন বালা অভিযোগ করে বলেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা ও অভিযোগে ছোট ছেলে জগবন্ধু দাসের চাকরি হারানোর উপক্রম হয়েছে দিপার মিথ্যা অভিযোগের কারণে। তার অত্যাচারে আমাদের পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি প্রশাসন, মানবাধিকার সংগঠন ও সাংবাদিক সমাজের কাছে ন্যায়বিচার ও সহযোগিতা কামনা করেন এই বৃদ্ধা মা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর