
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ইদকে ঘিরে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলার গাড়ি প্রবেশ করে শিল্প খ্যাত গাজীপুরে। অধিক যাত্রী ও ভালো ব্যবসার কারণে এ গাড়িগুলো গাজীপুরে আসে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর চৌরাস্তা, সালনা,রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা, হোতাপাড়া, ভবানিপুর, বাগেরবাজার, গড়গরিয়া মাস্টার বাড়ি, আনসার রোড, মাওনা চৌরাস্তা, এমসি, নয়নপুর ও জৈনা বাজারে গাড়ি চালকরা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ করছে।
হোতাপাড়ায় এমকে গাড়ির চালক জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছি, যাত্রীর চাপ তেমন নেই, তবে একদল লোক এসে গাড়িতে যাত্রী উঠালে টাকা দিয়ে উঠাতে হবে জানিয়ে যায়।
তিনি জানান, দেশ নাকি দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু চাঁদাবাজ কমেনি বরং বেড়েছে, ঈদে আমরা কিছু ব্যবসার কারণে প্রতি বছর গাজীপুরে আসি কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা দিতে দিতে আমাদের কিছু থাকে না। প্রশাসন সঠিক ভাবে কাজ করলে মহাসড়কে চাঁদাবাজি হতো না বলে অভিযোগ করেন।
রাজেন্দ্রপুরে পিকাপ চালক জানান, শেরপুর থেকে এসেছি গাড়ি সাইড করতেই কিছু ছেলে এসে বলছে গাড়িতে যাত্রী উঠালে ৫০০ টাকা দিয়ে উঠাতে হবে। টাকা কেন দিবো জানতে চাইলে বলেন চা নাস্তার খরচ আছে।পরে ৪০০ শো টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছি। পুলিশ থাকলেও কোন লাভ হচ্ছে না বরং তারা থাকাকালীন এসব চাঁদা নিচ্ছে।
রাজেন্দ্রপুরে গাড়ি থেকে চাঁদা নিচ্ছে এমন অভিযোগে জানতে চাইলে জিএমপি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান জানান, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা মহানগর ও জেলার এরিয়াতে পরেছে, চাঁদা নেয়ার এমন একটি সংবাদ পত্রিকায় দেখেছি পরে জানতে পারি জেলা এরিয়াতে তবুও আমি টহল টিম পাঠাচ্ছি।
সালনা হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহমদে জানান, আমার এরিয়াতে কোথাও চাঁদাবাজি হচ্ছে না, প্রতিটা পয়েন্টে আমাদের পুলিশ সদস্য ডিওটি পালন করছে, তবুও গোপনে কেও এমন কোন কিছু গঠন করলে আমরা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবো।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর