
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাতে জেলা শহরের গাইটাল জনতা রোড এলাকায় অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী। অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ওই তিন ছাত্রদল নেতা হলেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম নওশাদ, সদস্য মারুফ ও পৌর ছাত্রদলের সদস্য ইমন। এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়। পরে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এলাকার শত শত নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বনিতা।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন, আলমগীর সিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর শফিকুল আলম শিপলু, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
তাঁরা বলেন, এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হতো। গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার সময় হাতেনাতে একটি ছেলেসহ এক তরুণীকে (২৬) আটক করে এলাকাবাসী। পরে এলাকার মুরুব্বি ও মুসল্লিগণ বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করে দেয়। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। পরে ওই মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে একটি ভিডিও ধারণ করে আমাদের এলাকার তিন ছেলের নাম জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এলাকার এই তিন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে একটি কুচক্রী মহল। তাদের রাজনৈতিক জীবন শুরু হওয়ার আগেই শেষ করে দিতে চাচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, মেয়েটিকে আমি চিনিই না। আমার ওই মেয়ের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। আমার অভিযোগ যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে তাদের প্রতি। আপনারা যদি ভিডিওটি ভালো করে দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন যে, ওই মেয়ে আমার নামই মুখে নেয়নি। অথচ একটি কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক জীবন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য আমাকে জড়িয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ওই মেয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কয়েকজন মানুষ ভয় দেখাইয়া ভিডিও কইরা ফেইসবুকে দিতেছে। এদের কারও সাথেই পরিচয় নেই।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর