
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, কেন গণপরিষদ দিতে হবে? বাংলাদেশ কি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। গণ পরিষদ তখনি হয় যখন একটি দেশ নতুন স্বাধীন হয়।
স্বাধীন হওয়ার পর যে দেশে আইন থাকে না, সংবিধান থাকে না, সরকার থাকে না, তখন সেখানে একটি পরিষদ করে সংবিধান রচনা করা হয়। সরকার গঠন করা হয়।
কিন্তু আমরাতো এই দেশ পেয়েছি ১৯৭১ সালে ৯মাস যুদ্ধ করে। এখানে গণপরিষদের কথা কেন বলা হচ্ছে? কারা বলতে চাচ্ছে। মূলত একটি রাজনৈতিক দল যারা ১৯৭১ সালে রাজনৈতিকভাবে অপরাধ করেছেন। সেই ৭১-এর স্মৃতি, ১৯৭১-এর বড় অর্জনকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা ও গণ পরিষদের’ নামে মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দিতে চান তারা?
শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই এলাকায় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের উদ্যোগে বেলুকচি-চৌহালী-এনায়েতপুরের ৭ হাজার দু:স্থ মানুষের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি পাঞ্জাবি ও ১ হাজার পরিবারের মাঝে ইদ সামগ্রী এবং দুইজন শহীদ পরিবারের মাঝে ২ লক্ষ টাকা অনুদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭১’ এ ধরনের ভূমিকা বিতর্ক ছিল, যারা ৭১’ অপরাধমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তারা না হয় তাদের ভূমিকা মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য দ্বিতীয় স্বাধীনতাসহ নানা কথা বলছেন। কিন্তু যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা ছিলেন, নতুন রাজনৈতিক দল করেছেন, তারা যদি এইসব কথা বলেন, তবে আমাদের বড় প্রশ্ন জাগে? আপনারা কার কোথায় এসব বলছেন? আপনাদের এসব কথা বলা ঠিক না।
রুহুল কবির রিজবী বলেন, সংস্কারের কথা বলে জনগণের সাথে নির্বাচন নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন। একবার বলেন, মার্চ, একবার জুন, একবার ডিসেম্বর বলছেন? কেন অন্তবর্তীকালীন সরকার এ লুকোচুরি খেলছেন। সংস্কারতো চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারতো করবে নির্বাচিত সরকার। আপনার শুধু সুপারিশ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, যারা আওয়ামীলীগের দোসর, অন্যায় যারা করেছে, র্যাব-পুলিশগুলি করে হত্যা করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশু তরুণদের হত্যা করা হয়েছে। যে রক্তাক্ত জনপদ তৈরি করেছিল শেখ হাসিনা। সেই হাসিনাসহ দোষীদের বিচার করতে এতোদিন লাগবে কেন? আর বিচারের নামে জনগণের অধিকার কেন কেড়া হবে? জনগণ কেন তার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি করতে পারবে না?
কতিপয় দলের প্রশ্ন ‘আন্দোলন কি নির্বাচনের হয়েছে? এমন কথার প্রতিউত্তরে রিজবী বলেন, অবশ্যই গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়নি, ভোট কেন্দ্রে গরু-বাছুর ও কুকুর ঘুরে বেরিয়েছে। এই হারানো অধিকার ফেরানোর জন্যেই আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। কেন নির্বাচন দেরি হবে?
তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের যে কাজ সেই কাজ না করে অন্য কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ কালো টাকা ছড়িয়ে বাজারে সিন্ডিকেট করছে। এমনকি বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছেন। আওয়ামী দোসররা হাট-বাজার দখল হচ্ছে। যা আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে। কিন্তু ড. ইউনুস সরকারের আমলে কেন এগুলো হবে? এটাই জনগণের প্রশ্ন?
এ সময় বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল ভূঁইয়া, সাবেক আহ্বায়ক নুরু ল ইসলাম গোলাম, সাবেক সদস্য সচিব বনী আমিন পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন প্রামাণিক সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক মণ্ডলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর