
ভোলার চরফ্যাশনে খাবারের তরকারি রান্না ভালো না হওয়ায় পুত্রবধূকে গালমন্দ করায় ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আমিরুল ইসলাম নামের এক পাষণ্ড ছেলের বিরুদ্ধে।
বাবাকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ছেলে আমিরুল ইসলাম ও পুত্রবধূ সাহানাজ বেগম মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যান।
শনিবার রাত ৮টায় আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ শিবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রতন ফরাজী ওই গ্রামের মৃত আলী হোসেন ফরাজীর ছেলে।
নিহত বৃদ্ধের প্রতিবেশীরা জানান, বৃদ্ধ রতন ফরাজী তার স্ত্রী বিলকিস বেগমসহ ছেলে আমিরুল ইসলামের সাথে থাকতেন। নিত্যদিনই পুত্রবধূ তার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে খারাপ আচরণ করতেন। ঘটনার দিন ইফতারের পর পুত্রবধূ সাহানাজের কাছে খাবার খেতে চান শ্বশুর রতন ফরাজী। এসময় তরকারি ভালো রান্না না হওয়ায় পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই বাকবিতণ্ডার জেরে ছেলে ও পুত্রবধূ মিলে বৃদ্ধের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যান।
বৃদ্ধ রতন ফরাজীর স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন বৃদ্ধ রতন ফরাজীর নিথর দেহ।
বৃদ্ধ রতন ফরাজীর স্ত্রী বিলকিস বেগমের ভাষ্য, তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। তবে শ্বশুর ও পুত্রবধূর মধ্যে বাকবিতণ্ডার কথা শুনেছেন। যেহেতু পুত্রবধূ সব সময় খারাপ আচরণ করতেন, তাই তিনি বিষয়টি কর্ণপাত করেননি। কিছুক্ষণ পরে ঘরে এসে দেখেন, খাবার ঘরে স্বামীর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। তবে পুত্রবধূ ও ছেলে আমিরুল ইসলাম ঘর থেকে পালিয়ে গেছে।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর