
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান হামীম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার মো. আহসান উল্লাহকে (৪৮) অপহরণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব।
এ ঘটনায় জড়িত নিহত আহসানুল্লাহর গাড়িচালক সাইফুল ইসলামসহ (৩৯) চারজনকে গ্রেফতার করেছে (র্যাব-১)। গ্রেফতাররা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাইফুল ইসলাম (৩৯), নূর নবী, মো. ইসরাফিল ওরফে ইসরান (১৯) ও মো. সুজন ইসলাম (১৯)।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আহনাফ রাসিব বিন আলম।
আহনাফ রাসিব বিন আলম বলেন, গত ২৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হামীম গ্রুপের জিএম মো. আহসান উল্লাহ কর্মস্থল ত্যাগ করে বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার পরিবার র্যাবে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, জিএম আহসান উল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে গাড়িচালক সাইফুল সন্দেহজনক আচরণ করছিল। সন্দেহ হওয়ায় আহসান উল্লাহর পরিবার সাইফুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চান। কিন্তু ঠিক তখনই সাইফুল টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় নিজ বাড়িতে চলে যায়।
২৫ মার্চ দুপুর ১২টার সময় জিএম আহসান উল্লাহর মরদেহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে শনাক্ত করা হয়। মরদেহ শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে।
পরবর্তীসময়ে আসামি সাইফুলকে গাইবান্ধা থেকে এবং নূর নবীকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে আহনাফ রাসিব বিন আলম বলেন, ঘটনার সময় ইসরাফিল ওরফে ইসরান এবং সুজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পরে গ্রেফতার আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য হস্তান্তর করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) ইসরাফিল ওরফে ইসরানকে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে এবং শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ইসরাফিল ওরফে ইসরানের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সুজনকে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, অপহরণপূর্বক হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে গাড়িচালক সাইফুলকে শনাক্ত করা হয়। বাকি সবাই সহযোগী ছিল। তারা ঈদের আগে অর্থ আত্মসাতের জন্য জিএম আহসান উল্লাহকে অপহরণ এবং নির্যাতণের মাধ্যমে তার মৃত্যু ঘটায়।
এ বিষয়ে রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ডিএমপি উত্তরা ডিভিশনের ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম সংবাদ সন্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানানো হয়েছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর