
বরগুনায় ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ ব্যবহার করে অচেতন করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বরগুনা সদর থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বরগুনা সদর ইউনিয়নের ঢলুয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে মামুন খান (৪৫) ও রাজ্জাকের ছেলে রাব্বি।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নম্বর বরগুনা ইউনিয়নের ঢলুয়া এলাকা থেকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই প্রতারক চক্রটি প্রতিনিয়ত লঞ্চ, বাস ও বড় বাজারে গিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের টার্গেট করত। তারা কথিত ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ ব্যবহার করে মানুষকে অচেতন করে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব লুট করে নিত।
প্রায় আট মাস আগে বরগুনার পুরাকাটা ফেরিঘাটের কাছে এক অটোচালককে যাত্রীবেশে ইজিবাইকে উঠিয়ে তাকে চেতনানাশক ওষুধ (কথিত শয়তানের নিঃশ্বাস) প্রয়োগ করে অচেতন করা হয়।
এরপর প্রতারকরা চালকের মোবাইল ফোন দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনদের কল করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় এবং জানায় যে চালক তাদের হেফাজতে আটক রয়েছে। একপর্যায়ে তারা চালকের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় বরগুনা থানায় একটি মামলা (নম্বর: ১৫/২৪) দায়ের করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের প্রধানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও একজন আসামিকে আগেই গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। সর্বশেষ গতকাল চক্রের আরও দুই সদস্য মামুন ও রাব্বিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মামুনের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক বিক্রির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, "বরগুনা শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরে এই চক্র গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ ব্যবহার করে সর্বস্ব লুটে নেয় এবং তাদের সর্বশান্ত করে দেয়। আমরা এই চক্রের মূল হোতাকে খুঁজে বের করেছি। আগেও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এবং আজও চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া, এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ফিটিংবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। বরগুনা থেকে প্রতারকদের নির্মূল করা হবে।"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর