
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঈদগাহের ইমাম নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনার জের ধরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ঈদের জামাত। রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ঈদের দিন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন চিঠি জারি করেছে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গফরগাঁও উপজেলাধীন ৯ নম্বর পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ছয়টা হতে আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঈদগাহ এলাকায় সব প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশি অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, আতশবাজি, পটকা, মাইকিং বা শব্দযন্ত্রের ব্যবহার, পাঁচ সংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।
জানা গেছে, পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়াচ্ছিলেন মোহাম্মদ আলী নামের একজন ইমাম। ১৭ বছর ধরে ঈদগাহের নামাজ পড়ানো এই ইমাম আওয়ামী লীগপন্থী ওলামা লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন অভিযোগ এনে এলাকার একটি পক্ষ অপসারণ দাবি করেন। পক্ষটি মোহাম্মদ আলীকে ঈদের জামাতে ইমামতি করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করে। অপর দিকে ওই ইমারের পক্ষের লোকজন তাকে বহাল রাখার দাবিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে প্রশাসন আলোচনা করেও সমস্যার সমাধান করতে না পারায় উত্তেজনা শুরু হয়।
ইউএনও আবদুল্লাহ-আল-মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদগাহে ইমাম নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ দুটি গ্রুপ তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেও সমাধান করতে না পারায় ঈদগাহে ঈদের জামাত বন্ধ করা হয়েছে। তবে আশপাশের মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত আদায় করতে পারবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর