
বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসরত বাবা মায়েদের সাথে ঈদের আনন্দ উৎসব ভাগাভাগি করলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক। ঈদের নামাজ পড়েই ওইসব বাবা মায়েদের কাছে ছুটে আসেন তিনি। ভাগাভাগি করেন ঈদ উৎসব।
ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন থেকে অবহেলিত ৩৫ জন বাবা মা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করছে। ছেলে মেয়ে ভাল অবস্থানে থেকেও খোঁজ খবর নেন না। কারো ছেলে মেয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়ে বিদেশেই ভাল অবস্থানে আছেন, তবুও দেশে বাবা মায়ের খোঁজ খবর রাখেন না। অবহেলা আর বঞ্চনায় তাদের স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে। ঈদের আনন্দ পরিবার পরিজন নিয়ে পালন করার আকাংখায় নিরবে কাঁদে বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসরত এ সকল বাবা মা। এ সকল বাবা মায়েদের আকাংখা পূরণ করতেই ছেলে হয়ে ছুটে আসেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। তিনি নীলফামারীতে ঈদের নামাজ শেষে বাবা মায়েদের জন্য ঈদ গিফট নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে আসেন। তাদের হাতে নিজেই ঈদ উপহার তুলে দেন। এসময় জেলা প্রশাসক বাবা মায়েদের সাথে আনন্দে মেতে উঠেন। বৃদ্ধাশ্রমটি ছেলে বাবা মায়ের ঈদ উৎসবে মুখরিত হয়। ফুটে উঠে পারিবারিক উৎসবে।
বৃদ্ধাশ্রমে জেলা প্রশাসকের ঈদ উদযাপনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চয়ন বড়ুয়া প্রমুখ।
বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসরত আনোয়ারুল ইসলাম দুলাল, আছিয়া বেগম আনন্দে উৎসবের আমেজে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, স্যার আমাদের ছেলের মতই খোঁজ খবর রাখেন। তিনি শীতের সময় আমাদের লেপ দিয়েছেন। আজ ঈদের দিন ছেলে (স্যার) যে আমাদের সাথে ঈদ করবে আমরা ভাবতেই পারিনি। এখানকার সকলের জন্য ঈদ উপহার নিয়ে এসে আমাদের সাথে ঈদ পালন করলেন। আমাদের আর অবহেলিত মনে হয় না। আমাদের এ ছেলেটি সব সময় পাশে থাকলে আমাদের আর কোন দুঃখ কষ্ট থাকবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক মুঠোফোনে জানান- জেলা প্রশাসক স্যার ঈদের নামাজ শেষ করেই এখানে ঈদ উদযাপনে ছুটে আসেন। তিনি সব সময় বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসরতদের খোঁজ খবর রাখেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর