
রাজবাড়ীতে সালমা বেগম (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘর থেকে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি জয়পুর গ্রামে স্বামীর বাড়ির ঘরের খাটের ওপর সালমার গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
সালমা বেগম হাউলি জয়পুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আজাদ মল্লিকের স্ত্রী। তার সাদিক নামে সাত বছর বয়সি এক ছেলে ও সিনহা নামে পাঁচ বছর বয়সি এক মেয়ে রয়েছে।
সালমার শাশুড়ি লতা বেগম বলেন, ঈদের দিন সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সালমা দুই শিশু সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। অন্য ঘরের এক কক্ষে আমি ও আমার ছোট ছেলে রাহাত ঘুমাই, অন্য কক্ষে আমার বড় ছেলে আমজাদ ও তার স্ত্রী মিম ঘুমান। সকাল ৬টার দিকে আমি ঘুম থেকে উঠে সালমার ঘরের সামনে গিয়ে নাতি সাদিককে ডাক দেই।
এ সময় সাদিক ঘরের ভেতর থেকে কান্না করে বাইরে থেকে দরজা খুলতে বলেন। তখন আমি দেখি ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। আমি দরজা খুলে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখি সালমা খাটের ওপর চিৎ করে শোয়া অবস্থায় রয়েছে। তার শরীর কাঁথা দিয়ে ঢাকা এবং গলায় ওড়না দিয়ে টাইট করে পেঁচানো। তার দুই পাশে দুই সন্তান বসে আছেন।
লতা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলে ঈদের আগে সৌদি আরব থেকে এক লাখ টাকার উপরে পাঠিয়েছে। সালমাকে হত্যা করে ঘর থেকে টাকা ও সালমার নাকের নাকফুল নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন।
সালমার ৭ বছর বয়সি ছেলে সাদিক বলেন, রাতে আমাদের ঘরে হিমায়েত এসেছিল। তার সঙ্গে মুখোশ পড়া আরও দুইজন ছিল। তারা আমার আম্মুকে মেরে ফেলেছে। হিমায়েত কে জানতে চাইলে সাদিক বলে, আমরা যখন ঢাকায় থাকতাম তখন হিমায়েত আমাদের আঙ্কেল হতো।
এদিকে সালমার শ্বশুরবাড়ির কিংবা বাবার বাড়ির কোনো সদস্য হিমায়েত নামে কাউকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন। আজাদ ও সালমা ঢাকায় থাকাকালে হিমায়েত নামে কারো সঙ্গে পরিচয় থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, সালমা বেগমের গলায় ওড়না পেঁচানো লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার কারণ উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর