
ঢাকা-শেরপুর-ঝিনাইগাতী মহাসড়কে চলাচলকারী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইগাতী গামী যাত্রীবাহী বাসে সুপারভাইজার ও হেলপার সেজে ডাকাতি করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসের হেলপার, সুপারভাইজার ও চালকসহ পুরো স্টাফ বাসটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সম্ভাব্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে চালক আলমগীর হোসেন (৩০)-কে আটক করে। রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে শেরপুর জেলার নকলা ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মহাসড়কে এই ঘটনাটি ঘটে।
আহত যাত্রী শেরপুরের নকলা উপজেলার ১নং ডিজিটাল গণপদ্দী ইউনিয়নের বাড়ইকান্দী এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাকিল আহমেদ (২৭)। সে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। আহত সাকিল আহমেদকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, রবিবার সকালে ঢাক থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইগাতী গামী ‘তাকিফ পরিবহণ’ নামে একটি যাত্রীবাহী বাস সাকিলসহ বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে ঝিনাইগাতীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথে যাত্রীদের কাছে ভাড়া বা টিকেট চেক করা হয়নি। কিন্তু সুপারভাইজার ও হেল্পারদের কানাকানিতে যাত্রীদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। দুপুরের দিকে বাসটি নকলা উপজেলা শহর পাড় হয়ে শেরপুর ও নকলার সীমান্তবর্তী জনবসতিহীন এলাকায় পৌঁছালে হেলপার সাজা দুই ডাকাত বাসে তাণ্ডব চালায়। এতে বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সাকিল ওই ডাকাতদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হেলপার নামের অজ্ঞাত এক ডাকাত পিছন থেকে ছুড়িকাঘাত করে। এসময় যাত্রীরা চিৎকার করে বাস থামাতে বললেও চালক বাসটি নাথামিয়ে বরং দ্রুত গতিতে শেরপুরের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। সংবাদ পেয়ে শেরপুর সদর থানার পুলিশ রাস্তায় দ্রুত চেকপোস্ট বসায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসটি রাস্তায় ফেলে রেখেই বাসের চালকসহ পুরো স্টাফ পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চালককে আটক করে। বাসটি শেরপুর সদর থানার পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আহত সাকিল আহমেদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ খবর লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে আহত সাকিল আহমেদ জানান।
এই ঘটনা শুনে দূরপাল্লার যাত্রীদের মনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাসের চালক ও সুপারভাইজারসহ হেলাপারদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন যাত্রীসহ সাধারণ জনগণ। তা না হলে কৌশলী এই ডাকাত চক্র ঢাকা-শেরপুরের শান্তিময় সড়কে ভবিষ্যতে মারাত্মক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন সর্বসাধারণ।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর