
সজিদে পড়তে আসা ১৭ বছরের এক কিশোরী প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ইমামের নাম আব্দুল করিম (৪২। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে।তাকে শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৪ এপ্রিল ) রাতে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর উত্তর পাড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি ঐ মসজিদে দীর্ঘদিন যাবত ইমামতি করতেন।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ইমাম আ. করিম জানায়, তিনি ২ কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক এবং ঘরে তার স্ত্রী রয়েছে।
ধর্ষণের কারণ হিসেবে ইমাম করিম সাংবাদিকদের জানায়, শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তিনি এমন জঘন্য কাজ করেছেন।
জানা যায়, শান্তিপুর মসজিদে রমজান উপলক্ষ্যে দারুল কেরাত পড়তে যায় একই গ্রামের ১৭ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীটি।
গত ১ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে অন্য শিক্ষার্থীরা মসজিদ ত্যাগ চলে গেলে সেই সুযোগে ইমাম কিশোরীকে বিশেষ কাজ আছে বলে কক্ষে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনা কাউকে বললে ওই কিশোরীকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেয় অভিযুক্ত ইমাম। পরবর্তীতে আবারও ঘর ঝাড়ু দেয়ার উছিলায় ২য় দফা তাকে একই রুমে ধর্ষণ চেষ্টা করলে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের লোকজনকে জানায়।
গতকাল ৪ এপ্রিল কিশোরীর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই ওই ইমামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, এক কিশোরীরে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর