
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত সনিক কারখানার (খেলনা তৈরির কারখানায়) ডায়াস্টিক মেশিন বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। উত্তরা ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- জেলার সৈয়দপুরের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের রমজান আলী (২৬) ও জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চেংমাড়ি গ্রামের খায়রুল ইসলাম (২৫)।
ঘটনায় কারখানার শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, রাতে ওই কারখানার কাজ চলমান অবস্থায় হঠাৎ ডায়াস্টিক মেশিনটি অতিরিক্ত গরমে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শ্রমিকদের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হলে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কর্মরত খায়রুল ও রমজানকে উদ্ধার করা হয়।
ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ‘সনিক নামের একটি কারখানা থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তারা বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত শ্রমিকদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়।’
জিএম আব্দুল জব্বার বলেন, ‘সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার ওই ঘটনায় দুই জন শ্রমিক গুরুতর আহত হলে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে রংপুর বার্ন ইউনিটে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সেখানে ওভার টাইম ডিউটি করছিল।’
উল্লেখ্য, সনিক হংকংভিত্তিক গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে উত্তরা ইপিজেডে সনিক কারখানা খেলনা তৈরির কাজ করে আসছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর