
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এদিকে এ বিষয়ে সংহতি জানিয়ে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংহতি সমাবেশে শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দরা "ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সী,ফিলিস্তিন উইল বি ফ্রি ফ্রি", "আমেরিকার আগ্রাসন, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও", "ইসরাইল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্ত পাক" স্লোগান দিতে থাকেন।
সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ হানিফ বলেন,ইসরায়েল যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে,আমাদের ধর্মীয় স্থাপনায় আঘাত করছে, নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করছে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন,২০২৫ সালে এসে একটা জনপদ কে নিশ্চিহ্ন করবে বা ধ্বংস করবে এটা আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব তা কখনোই হবে না। আমরা এটার প্রতিবাদ করেই যাবো।গাজাকে জনশূন্য করে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র করবে এ ধরনের অসভ্যতা আমরা কখনোই মেনে নিব না এবং ইনশাআল্লাহ ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীন হবে এবং তিনি ইসরায়েলী পণ্য শক্তভাবে বয়কট করার আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন,গাজাতে ইজরায়েল ও আমেরিকা যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অতি দ্রুত হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।আজকের এই সমাবেশ থেকে বিশ্ববাসীর কাছে বলতে চাই গাজাতে আর কোনো হত্যাযজ্ঞ নয়, গাজা ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব জায়গা।ইসরাইল বাহিনী আগে দখল করেছে এবং বর্তমানে গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার চেষ্টা করতেছে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মাতৃভূমি রক্ষার অধিকার সবার, শুধু মুসলমান বলেই কি এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।নেতানিয়াহু সহ যারা এই হত্যাযজ্ঞ লিপ্ত তাঁদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্ববিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক এবং অবিলম্বে গাজাতে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা হোক।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর