
ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের প্রতিবাদের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দিনভর উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কালেমা লেখা পতাকা উড়ানোর সময় তা নামাতে বলায় এক পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। ইসলাম বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে উস্কানি দেওয়ার পর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রক্ষা করতে গিয়ে আরও চারজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হন।
আহতরা হলেন- সানি সরকার, খালিদ হাসান, রেজওয়ান আহমেদ রিফাত, রাইয়ান এবং সরদার শুভ। তবে খালিদ হাসান ও সানি সরকার গুরুতর আহত হন। তারা সকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে ফার্মেসী বিভাগের রাইয়ান ফেরদৌস বলেন, "টিএসসিতে বিভিন্ন কলেজ এবং নার্সিং কলেজের স্টুডেন্টরা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করছিল। আমরা বিকেল ৪টার 'মার্চ ফর প্যালেস্টাইন' প্রোগ্রামের জন্য ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, পতাকা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম বটতলায়। সানি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফিলিস্তিনের পতাকা আনতে টিএসসি যায়। যাওয়ার পথে রাজুর কাছে সানীর সঙ্গে তর্ক করে কয়েকজন, এবং জনতাকে উস্কে দেয় ইসলাম বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে। এর ফলে ৫০-৬০ জনের একটি দল হামলা চালায়। আমরা যারা সানীকে রক্ষা করতে যাই, তারাও আহত হই। সানি যখন মেডিক্যালের দিকে রওনা দেয়, তখন তারা আবার হামলা করে।"
তিনি আরও বলেন, "সানি বুকে ও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায়, নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিলো, শ্বাস নিতে পারছিল না। ঢাকা মেডিক্যালে ওর মাথায় সিটিস্ক্যান এবং এক্সরে করা হয়েছে, এখন আশঙ্কামুক্ত।"
অভিযোগ উঠেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রায়ান ফেরদৌসের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, "আমরা বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি দেখছি। আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসছে, আমরা সেগুলো আরও যাচাই-বাছাই করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এখানে কাজ করছে। সবকিছু জানার পর তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর