
সোমবার দুপুরের আলো তখনও বেশ ঝলমলে। কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের মানুষজনের প্রতিদিনকার ব্যস্ততা ঠিক তখনই ছিন্ন করে দেয় এক করুণ দুর্ঘটনা। রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে মাস্টার তাজ উদ্দিনের বাড়ির সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় দুটি অটোরিকশা।
একটি অটোরিকশা আসছিল নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে, আরেকটি রামুর দিক থেকে। দুই দিক থেকে ছুটে আসা যানদুটি যেন কারও জন্যই থামেনি। ভয়াবহ ধাক্কায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় সবকিছু।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন আটজন। স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার করেন আহতদের। দ্রুত রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের খামার পাড়ার বাসিন্দা গুরা মিয়াকে (৫৫) মৃত ঘোষণা করেন।
বাকি সাতজন এখনও চিকিৎসাধীন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, “দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা দুটি জব্দ করা হয়েছে। আহতদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।”
এই দুর্ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গ্রামীণ সড়কগুলো। অতিরিক্ত গতি, অসতর্কতা আর নিয়ম না মানার ভয়াবহ পরিণতি শুধু একটি জীবনই নিয়ে নেয়নি, বরং আরও অনেক পরিবারের নিশ্বাস আটকে দিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, সড়কে নিয়মতান্ত্রিকতা ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে—না হলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে, আমরা শুধু লাশ গুনে যাবো।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর