
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বাংলাদেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল। এসব মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতা সারা দেশে অন্তত অর্ধশত প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। অনেক স্থানে লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, গাজীপুরে এসব প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
ইতোমধ্যে এই ঘটনায় সারাদেশে ৪৯ জনকে আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক ও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল গাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা ও বেআইনি ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ওই সব ঘটনায় জড়িত অন্তত ৪৯ জনকে আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এতে বলা হয়, ‘দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সোমবার রাতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ চলাকালীন বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না সব অপরাধীকে গ্রেফতার করা যায়’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি, যারা এই তদন্তে সহায়ক কোনো তথ্য দিতে পারেন, তারা যেন এগিয়ে আসেন। একত্রে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে যারা আমাদের সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তারা আইনের আওতায় আসবেন।’
এর আগে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর