
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) ভুয়া কাজির দৌরাত্ম্য। ফলে বাল্য বিবাহ বাড়ছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে বিপদে ফেলছেন গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষকে। বাল্য বিয়ে পড়িয়ে বর ও কনে পক্ষকে ভুয়া কাজিদের মোটা অঙ্কের ফি দিতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নিবন্ধিত নিকাহ রেজিস্ট্রার থাকলেও এর বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিকাহ রেজিস্ট্রার ভলিউম সংগ্রহ করে প্রায় ১৮ থেকে ২০ জন ব্যক্তি নিজেদের কাজী দাবি করে নিকাহ রেজিস্ট্রার করে যাচ্ছে। এসব ভুয়া কাজী বিভিন্ন বিবাহ অনুষ্ঠানে গিয়ে কাবিন রেজিস্ট্রির নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
এসব ভুয়া কাজিদের লাইসেন্স না থাকায়, নিজের ইচ্ছেমতো অবৈধ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। তাদের কোন জবাবদিহি করতে হয় না। তাই তারা আইন কানুনের কোন তোয়াক্কাও করে না। ফলে আইনগত জটিলতায় পড়ছেন অনেক নবদম্পতিরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই ভুয়া কাজিরা সাধারণত জাল নথি ব্যবহার করে বিয়ে পড়ানোর অনুমতি দাবি করেন। তাঁরা সাধারণ মানুষের অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ বিয়ে, অবৈধ তালাকনামা ও বিয়ের ভুয়া নকল সনদ তৈরি করে বিপদে ফেলছেন সাধারণ মানুষকে।
এব্যাপারে অনুমোদিত কাজি তছলিম উদ্দিন, ওসমান আলী ও আলা উদ্দিন জানান, এসব ভুয়া কাজিদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার অবগত আছেন। মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু কোন ভাবেই কমছে না তাদের দৌরাত্ম্য।
এব্যাপারে কাজি সমিতির কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি নুরুজ্জামান জানান, এসব ভুয়া কাজিনের নামের তালিকা আপনারা পত্রিকায় প্রকাশ করেন, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ জানান, অভিযোগ পেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে পরামর্শ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অনুমোদিত কাজিদের তালিকা দেখে বিয়ে ও তালাক সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন তিনি।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার রুহুল কুদ্দুস জানান, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। খোঁজ খবর নিচ্ছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর