
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে আন্তর্জাতিক মানের ছয় লেন করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা দেশের গর্ব। চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় চট্টগ্রামবাসী গর্বিত। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। এই মহাসড়ক দিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা কক্সবাজার যান।
এছাড়া কক্সবাজারে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রিফিউজি ক্যাম্প, রোহিঙ্গা ক্যাম্প হওয়ায় দেশী ও বিদেশী শতাধিক এনজিও কাজ করছে। তারা সবাই এই মহাসড়ক ব্যবহার করে। তবে দুঃখজনকভাবে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়কটি সরু হওয়ায় এবং নিয়মিত লবণ পরিবহনের গাড়ি চলাচল করায় সড়কটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, অনেকেই অঙ্গহানি কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করছে।
এই অবস্থায় সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের এবং সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা চট্টগ্রামের হওয়ায় আমরা আশা করি, সরকার এই মহাসড়ক ছয় লেন করতে আন্তরিক হবে।
অবিলম্বে মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু, নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাহফুজুর রহমান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক বিপ্লব পার্থ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, এস এম জসিম উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু, অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন নীরব, চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন হিমেল, উত্তর জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক এস এম গোফরান, কেন্দ্রীয় সদস্য মো: আবুল কাশেম, মো: ইসমাইল, মো: সুমন, মো: আশরাফ, সুজন দাশসহ অন্যান্যরা। দ্রুত বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর আশ্বাস দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর