
বরগুনা জেলা পুলিশ মাদক, সন্ত্রাস, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ ও অসাধু অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে কাজ করছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বেতাগী থানাধীন বুড়া মজুমদার ইউনিয়নের গ্রামার্দ্দন সাকিনস্থ জনৈক জলিল গোলদারের (৫৮) নাতি, বামনা সরকারি কলেজের এইচএসসির ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ ইব্রাহিম গোলদার (২০) কে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই প্রতারক সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) ও মোঃ মনির হোসেন খান (৪০) টাকা আত্মসাৎ করেছে।
তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতারকরা চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইব্রাহিম গোলদারের পরিবার থেকে ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ) টাকা নেন। এসময় প্রিন্স ও মনির বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে মোট ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। পরে চাকরি না দেওয়ায় ইব্রাহিমের পরিবার টাকা ফেরত চাইলে প্রতারকরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
অবশেষে, ইব্রাহিম গোলদার নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে বুঝতে পারেন যে, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর, ইব্রাহিমের দাদা জলিল গোলদার বাদী হয়ে বেতাগী থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিলের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। গোপন অনুসন্ধান এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযানে নেমে দুই প্রতারক, সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স ও মোঃ মনির হোসেন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রিন্সকে ঢাকার উত্তরা এলাকা এবং মনিরকে বেতাগী থানার গাবুয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে, প্রতারণার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার সকলকে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, "এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে এবং পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে অবৈধ লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে।"
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর