
কুমিল্লায় খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অচেতন অবস্থায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জনকে উদ্ধার করে লাকসাম একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১১টায় পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় পার্শ্ববর্তী পরিবারের সদস্যরা ডাকতে এসে দেখেন- ঘরের দরজা খোলা ও ঘরের আলমারিসহ আসবাবপত্র এলোমেলো। অনেক ডাকাডাকির পরও পরিবারের কোনো সদস্যের ঘুম না ভাঙ্গায় প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং পুলিশে খবর দেন।
অচেতন ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মনির হোসেন (৭০), তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৫৫), তার ছেলে মহিউদ্দিন ফয়সাল (৩২), তার মেয়ে স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ঝুমু (৩০), ঝুমুর শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৬) ও জায়মা (৪)।
লালমাই থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। দুই শিশুসহ পরিবারের ৬ সদস্য আক্রান্ত। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আহতদের প্রথমে লাকসামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বৃদ্ধ মনির হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের জ্ঞান না ফেরায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
লালমাই থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে চুরিরর ঘটনা ঘটেছে।আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের প্রধানসহ দুজনের এখনো জ্ঞান ফিরেনি। তাদের সুস্থতার পর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরদের ধরতে পুলিশের অভিযান চালিয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর