
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পৌরশহরের কলেজ পাড়া বাধন কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী জাকির হোসেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন ওই পুলিশ সদস্য।
জাকির হোসেন উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের (মুড়ির বাড়ি) এলাকার বাসিন্দা। লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, ২০২৩ সনে কুড়িপাইকা গ্রামের সেকান্দর আলী নিকট থেকে আমি ও আমার স্ত্রী ৬.৩০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে নিজ নামে খতিয়ান সৃজন করে টিনের ঘর নির্মাণ করে পরিবার নিয়া বসবাস করে আসছি। কিছুদিন আগে আমি টিনসেড ঘর ভেঙ্গে পাকা বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিবেশী মো: ফয়েজ মিয়া উক্ত ভূমিতে মালিকানা দাবি করে আমার কাজে বাধা দেয়। কিন্তু মালিকানার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে আদালতে একটি পিটিশন মামলা করে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আখাউড়া থানার এএসআই ধীমান বরুয়া সরজমিনে তদন্ত করতে এলে ফায়েজ মিয়া মালিকানার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তদন্তক্রমে পুলিশ আমি ও আমার স্ত্রী দলিল মূলে জায়গার মালিক মর্মে আদালতে প্রতিবেদন পাঠায়। নির্মাণ কাজে আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমি কাজ শুরু করলে গত ৩ এপ্রিল এএসআই ধীমান বরুয়া আমার বাড়িতে গিয়ে কাজে দেয় এবং আমার একজন নির্মাণ শ্রমিককে থানায় নিয়ে যায়। ২ ঘণ্টা আটক রাখার পর আমি শ্রমিককে ছাড়ায়ে আনি। এজন্য ধীমান বড়ুয়া আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। পরে আমার মিস্ত্রি ইট, সুরকি, বালু, সিমেন্ট গুছিয়ে রাখার জন্য কাজ শুরু করলে এএসআই ধীমান বরুয়া আবারও এসে আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এদিকে, কাজে বিলম্ব হওয়ায় আমার ইট, বালি, সুরকি, বালি সিমেন্ট নষ্ট হয়ে আমি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
নির্মাণ কাজে বাঁধা এবং ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই ধীমান বড়ুয়া টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ছমিউদ্দিন বলেন, আদালতে উভয় পক্ষের মামলা থাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। তবে, তদন্তকালে জাকির হোসেনের মালিকানার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং সেই মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর