
সাভারের আশুলিয়ায় পূর্নতা পেল দুটি দেশের নাগরিকের দীর্ঘ ৫ বছরের ভালোবাসার। ফিলিপাইনের তরুণী জুলপা বাসরি সাইরা খান এবং বাংলাদেশি তরুণ সজল খান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে ফিলিপাইনের তরুণী জুলপা বাসরি সাইরা খান এবং বাংলাদেশি তরুণ সজল খানের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাদের পরিবার।
এর আগে গত (৭ এপ্রিল) সোমবার রাতে আশুলিয়ার পল্লি বিদুৎ কাচ্চি ডাইন একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিয়ে। ভালোবাসার টানে ফিলিপাইন থেকে ছুটে আসা সাইরা খানকে আপন করে নিতে কমতি ছিল না সজল খানের পরিবারের।
এসময় ফিলিপাইনের মেয়ে জুলপা বাসরি সাইরার পক্ষ থেকে কেউ না থাকলেও সার্বক্ষণিক তার নিজ দেশ থেকে তার পরিবারের সবাই যোগাযোগ রাখছিলেন মুঠোফোনে।
জানা যায়, রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার সুবর্নকোলা গ্রামের সজল খান কাজের খোঁজে ১০ বছর আগে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সেখানে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে দুইজনের পরিচয় হয় ফিলিপাইনের যুবতী সাইরা খান এর সাথে। প্রথম দেখাতেই পছন্দ করেন সাইরা খানকে সজল। জানান ভালোবাসার কথা। প্রথমে রাজি না হলেও পরে সজলের নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং সততায় মুগ্ধ হয়ে একসময় সাইরা খান সায় দেন সজলের ভালোবাসার প্রস্তাবে।
যেহেতু দুইজন দুই দেশের তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন অন্তত পাঁচ বছর তারা নিজেদের মধ্যকার বোঝাপড়া ঠিক করে নেবেন তারপর ভাববেন বিয়ের কথা। সেভাবেই তারা পাঁচটি বছর পার করেন সিঙ্গাপুরে একসাথে কাজ করে। অবশেষে তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। সজলকে দেখে বাংলাদেশের উপর ভালোলাগা শুরু হয় সাইরার। সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে এসে বিয়ে করার। এরপর দিনক্ষণ ঠিক করে চলে আসেন বাংলাদেশে। আশুলিয়ার শেরআলী মার্কেট এলাকার বাসিন্দা সজল এর ভাইয়ের কাছে থেকেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
অল্প অল্প বাংলা বলতে পারা সাইরা খান বলেন, বাংলাদেশ দেখতে ফিলিপাইনের মতোই বাংলাদেশের মানুষ খুবই ভালো এবং নম্র ভদ্র মিশুক। আমি কিছু কিছু বাংলা বলতে পারি এর মধ্যে থেকে সব থেকে বেশি বলতে পারি সজল আমি তোমাকে ভালোবাসি। সর্বোপরি সজল একজন ভালো মনের মানুষ এবং একজন ভালো জীবনসঙ্গী,কেয়ারফুল্লি প্রেমিক। আজকে আমরা বিয়েতে আবদ্ধ হলাম বাংলাদেশের সকলের কাছে আমরা দোয়া চাই
বাংলাদেশি যুবক সজল খান বলেন, ভালোবাসার প্রস্তাব টা সাইরাকে অবশ্য আমি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি সাইরা। পরে আমার সততা ও নিষ্ঠা পরিশ্রমে মুগ্ধ হয়ে হন সে নিজে থেকেই ভালোবাসার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। যেহেতু আমরা দুইজন দুই দেশের তখন প্রতিজ্ঞা করি যে একসাথে পাঁচ বছর থাকবো এরপর যদি সম্পর্ক আরো দূরে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। তখন বিয়ের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করবো। ঠিক সেভাবেই পাঁচটি বছর কাটিয়ে দিয়ে আজ সাইরাকে জীবনের অন্তিম পর্বের পদক্ষেপ নিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সজল খানের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ। আনন্দঘন পরিবেশে সকলের দোয়ায় শুরু হলো ভীনদেশি তরুণ-তরণীর দাম্পত্য জীবন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর