• ঢাকা
  • ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৪ মিনিট পূর্বে
ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০২ বিকাল
bd24live style=

ঠাকুরগাঁওয়ে আগুন আতঙ্কে রাত জেগে পাহারায় গ্রামবাসী

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি গ্রামে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন সে গ্রামের মানুষ। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি গভীর রাতে কে বা কারা এ অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রায় নিয়মিতভাবেই দু একদিন পর পরই ঘটছে আগুন লাগার এ ঘটনা। আর সবাই ঘুমালেই বিশেষ করে ভোররাতেই এমনটা ঘটাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনাটি নিয়মিতভাবে ঘটছে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঘণিমহেষপুর গ্রামে। রমজান মাসে বন্ধ থাকলেও গত তিন মাস ধরেই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী ১৩- ১৪ টি পরিবার।

রুহিয়া উত্তরা বাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম হামিদুর রহমান জানান, গত তিন মাস আগে কাদো রাম এর বাসা থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। এ পর্যন্ত একটার পর একটা চলছে এ অগ্নি সংযোগের ঘটনা। আমরা সবাই একটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। শেষ গত মঙ্গলবার ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতেই চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে তৈমুরের বাসার আগুন নেভাতে সাহায্য করি। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনি তবে ততক্ষণে খরের গাদা ও খড়ির ঘর পুরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয় তার।

ভুক্তভোগী তৈমুর রহমান বলেন, লোকজন যখন ঘুমিয়ে পরে তখনি এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আমার ও অন্য গ্রামবাসীদের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে আসতে আমাদের অনেক কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তৈমুরের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, সারাদিন কৃষিকাজ করে এভাবে রাত জেগে পাহারা দেয়া সম্ভব না। এটা আমাদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এটা জিন ভূতের কাজ না, এটা মানুষেরই কাজ। আমরা বাচ্চাদের নিয়ে অনেক ভয়ে ভয়েই রাতে ঘরে থাকছি।

আনোয়ার হোসেন ও ফারুখ হোসেন নামের স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা একটা সালিশের ব্যবস্থা করেছিলাম। তাতে কিছুদিন এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা বন্ধ ছিল। তবে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর তা আবারো ঘটছে নিয়মিতভাবেই। আমাদের বাচ্চারা এখন ঘরে থাকতেই ভয় পায়। এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে থানায় মৌখিক অভিযোগ করলে থানা থেকে পুলিশ এসে উলটো আমাদেরকেই বলে দুষ্কৃতিকারীদের ধরিয়ে দিতে।

এছাড়া একই গ্রামের কাদো রাম, খোরশেদ,মকবুল, দারাজ উদ্দিন, শহিদুল সহ প্রায় ১৫ জনের গত তিন মাসে প্রায় ১৫-১৬টি খড়ের গাদা, গোয়াল ঘর ও রান্না ঘরে আগুন লাগে। ফলে আগুন আতঙ্কে রাত-দিন পার করতে হচ্ছে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির মানুষকে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে, রাত জেগে পাহারা দিয়েও তাদের ধরতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল মুঠোফোনে জানান, রুহিয়া ঘনিমহেষপুর গ্রামের নিয়মিতভাবে আগুন লাগার ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তবে কেউ এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন,আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানার পর ইতোমধ্যেই সেখানে আমাদের টহল বাড়িয়েছি। এছাড়াও এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় তদন্ত করে দোষীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ওই গ্রামে বেশিরভাগ আগুন লাগার ঘটনায় আগুনের উৎস পাওয়া গেলেও গভীর রাতে খড়ের গাদায়, রান্নাঘর ও গোয়াল ঘরে আগুন লাগার কারণ জানেন না ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খুব দ্রুতই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পবেন বলে আশা করছেন তারা।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com