
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দেবর সজিব ও প্রবাসীর স্ত্রী (ভাবী) সুমাইয়ার পরকীয়ার সম্পর্কের ঘটনা দেখে ফেলায় কাবিল হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সে গোসাইবাড়ী স্থানীয় পাড়া গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে ও পেশায় ইলেকক্ট্রিক মিস্ত্রি। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে গোসাইবাড়ী বটতলা বাজারে নিহত কাবিল হোসেনের পরিবার তদন্ত করে সঠিক তথ্য উৎঘটন ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
এ সময় নিহতের স্ত্রী শাপলা খাতুন, প্রতিবেশী খাদিজা, শাহেব আলী, মোরশেদা, রুপালী বেগম, ভাই হাবিলসহ অনেকে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন ও সজিবের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। কাবিল বিষয়টি দেখে ফেলায় এবং প্রতিবাদ করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তার মরদেহ হাসপাতালে রেখে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক সজিব ও প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনরা পলাতক রয়েছেন। কিন্তু দু:খের বিষয় উলটো দোষারোপ করা হচ্ছে যে কাবিলের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী পরকিয়া যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাজাহান আলী বাদি হয়ে শেরপুর থানায় নিহতের ফুফাতো ভাই সজিব, প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া ও সজিবের বাবা সাইফুল ইসলামসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে রাতেই অভিযান চালিয়ে গোলাম আজম (২৮) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে কুসুম্বি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী কলোনি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কাবিল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। বিষয়টি সজিব ও তার বাবা সাইফুলসহ তাহার পরিবার এতে ক্ষুব্ধ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ রাত ১১টায় আসামি সুমাইয়া খাতুনের মাধ্যমে কাবিল উদ্দিনকে কৌশলে শেরপুর গাড়ীদহ ইউপির হাটগাড়ি তালপট্টি গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে ডাকিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে কাবিল উদ্দিনকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে।
এরপর আসামিরা কাবিল উদ্দিনের গামছা দ্বারা মুখ বেঁধে ঘটনাস্থল থেকে ৫শ গজ দুরে হাটগাড়ি ইদগাহ মাঠের পূর্ব পাশে ইউক্যালিপটাস বাগানের ভিতর নিয়ে যায় এবং ইউক্যালিপটাস গাছের সাথে রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধে আবার মারধর করায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। পরে আসামিরা একটি অপরিচিত অটোরিকশাযোগে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া এসে মরদেহ রেখে তারা পালিয়ে যায়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দেবর ভাবির পরকীয়ার সম্পর্কের কথা জানায় তাকে হত্যা করেছে এমন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তদন্ত চলছে সঠিক তথ্য উৎঘটনের জন্য।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর