
নাটোরের লালপুরে গ্রেপ্তার হওয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে থানা ভবন থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একই ঘটনায় ওই নেতার দুই বোনসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাগাতিপাড়া থানার পুলিশ একটি মামলার আসামি রুবেল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বিকেলে লালপুর থানা ভবনে রাখে। খবর পেয়ে ওই নেতার পরিবারের লোকজনসহ লালপুরের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী থানা ভবনের ভেতরে ঢুকে স্লোগান দিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। পরে তাঁরা জোর করে রুবেল উদ্দিনকে ছিনিয়ে নিয়ে থানা ভবন থেকে বের হয়ে আসেন। তাঁকে নিয়ে লালপুর-বাঘা সড়কে মিছিল করেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা লালপুর থানায় গিয়ে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যার পর ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। আজ সকাল পর্যন্ত যৌথবাহিনী রুবেল উদ্দিনের চামটিয়ার বাড়ি থেকে তাঁর দুই বোন রুপা খাতুন (২৫) ও ফারজানা ইয়াসমিন (২০) ও কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানাকে (৩১) গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
রাতেই এই ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লালপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরাসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০০ থেকে ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এদিকে লালপুর থানায় সংঘটিত ঘটনার জন্য লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ও দায়িত্বরত একজন উপপরিদর্শক এবং দুজন কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, যারা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে আসামি ছিনতাই করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর