
বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড এবং টেক জায়ান্ট ওয়ালটন অর্জন করলো ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’।
ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য এবং প্রভাবশালী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটনকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিডা আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দেয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী’র কাছ থেকে পুরস্কারের ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই—টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই—টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটন টেকসই প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং নিত্য নতুন উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। যার প্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিক্স ও হাই—টেক শিল্পখাতে দেশে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের।
আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন বাংলাদেশে নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্বের ৫০টি দেশের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫’ এর উদ্বোধনী দিনে ওয়ালটনকে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হয়েছে। ওয়ালটনকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
তিনি আরো বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে ওয়ালটন সর্বদা কাজ করছে। তাই চতুর্থ শিল্প বিল্পবের নতুন নতুন যে অটোমেশন প্রযুক্তি আছে সেগুলোতে বেশি করে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটনের পদচারণা বাড়াতে ব্যাপকভাবে কাজ চলছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং পণ্যে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হচ্ছে। উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, ওয়ালটন একটি সবুজ ও কার্বন শুন্য বাংলাদেশ গড়তে সরকারের ভিশনের সাথে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতির আলোকেই ইতোমধ্যে গাজীপুরে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে নেট মিটারিং নির্দেশিকায় ৬.৫ মেগাওয়াট রুফটপ সোলার প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে এবং আরো ১৩.৫ মেগাওয়াট প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
এই মুহূর্তে ওয়ালটন শিল্প স্থাপনায় মোট ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করার মতো পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রচলিত শক্তির ওপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০২১—২২, ২০২২—২৩ এবং ২০২৩—২৪ অর্থবছরে বিনিয়োগ খাতে বিশেষ অবদান এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও বেশি দেশি—বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সফল বিনিয়োগকারীদের ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দিয়েছে বিডা।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর