
মুমিনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির পর জান্নাত লাভ করা। জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য বেশকিছু দোয়া রয়েছে। যেগুলো পড়লে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন বলে আশা করা যায়।
হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন- ‘কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে তিনবার জান্নাতের দোয়া করে, জান্নাত তখন বলে, ’হে আল্লাহ একে জান্নাতে দাখিল করে দাও।’ আর কোনো ব্যক্তি যদি জাহান্নাম থেকে তিনবার পানাহ চায়, তখন জাহান্নাম বলে, ’হে আল্লাহ একে জাহান্নাম থেকে পানাহ দিয়ে দাও।’ (জামে' তিরমিজি: ২৫৭২)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর কথা বলার আগে সাত বার এ দোয়াটি পড়া। যদি কেউ ফজরের পর পড়ে এবং ঐ দিনের মধ্যে মারা যায়, ঐ ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। আর কেউ যদি মাগরিবের নামাজের পর এ দোয়াটি পড়ে এবং ঐ রাতে মারা যায় তবে তার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লিখে দেওয়া হয়। (মিশকাত, আবু দাউদ)
হজরত আল-হারিস ইবনু মুসলিম আত্-তামীমী রাদিয়াল্লাহু আনহু তার পিতার সূত্র বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে চুপে চুপে বলেন, ‘যখন তুমি মাগরিবের নামাজ থেকে অবসর হয়ে সাতবার বলবে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আঝিরনি মিনান নার। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।’
তুমি তা বলার পর ওই রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে। আর যখন তুমি ফাজরের নামাজ শেষ করবে তখনও অনুরূপ বলবে। অতঃপর তুমি যদি ওই দিন মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে।’ (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে হিব্বান)
এ ছাড়াও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য এই দোয়াটি পড়া যেতে পারে। তা হলো-
উচ্চারণ: রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে দোযখ-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর। (সূরা বাকারা, আয়াত : ২০১)।
জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য এই দোয়াটিও করা যেতে পারে। তা হলো-
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাহ, ওয়া আউযুবিকা মিনান্নার।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে জান্নাত কামনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর