
কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের চর থানাপাড়ার জিকে বালির ঘাট এলাকায় গলায় গামছা প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় সুরমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সুরমান চরথানাপাড়া এলাকার কালাম হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, হালিম বিক্রেতা হাকিম বুধবার সকালে তার বাড়ি থেকে গহনা ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগ এনে আশরাফুল নামের এক ব্যক্তিকে প্রথমে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর বুধবার দুপুরে রিকশাচালক সুরমানকে ধরে নিয়ে যায় হাকিমসহ তার সঙ্গীরা। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
নিহত সুরমান আলির ছোট ভাই সেলিম বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে হালিম বিক্রেতা হাকিমের বাড়ি। তিনি বুধবার সকালে তার বাড়ি থেকে গয়না ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগ এনে আমার ছোট ভাই আশরাফুলকে প্রথমে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বড় ভাই রিকশাচালক সুরমানকে ধরে নিয়ে যান। পরে আমাদের বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন হাকিমসহ তার সঙ্গীরা।
তিনি আরও জানান, এরপর থেকে আমরা আমার ভাইকে কোথাও খুঁজে পাইনি। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জিকে বালিরঘাট এলাকায় আমেনা খাতুনের বাড়ির বাথরুমের চালের এঙ্গেলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, চুরির মিথ্যা অভিযোগে একই এলাকার হালিম বিক্রেতা হাকিমসহ বেশ কয়েকজন সুরামানকে নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মো. খাইরুজ্জামান বলেন, নিহত সুরমানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর