
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবে গিয়ে পড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছিল বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী— বুধবার ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল অভিমুখে নিক্ষেপ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবে পড়েছে।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ কেএএন জানিয়েছে, “ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল অভিমুখে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় এবং পরে সেটি সৌদি আরবে পড়েছে”। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
পৃথক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র — যা সম্ভবত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছিল — কিছুক্ষণ আগে সৌদি আরবে গিয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি শনাক্ত করেছে। কিন্তু ইসরায়েলে এই ঘটনায় কোনও সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়নি কারণ ক্ষেপণাস্ত্রটি সেখানে কোনও হুমকি তৈরি করেনি।
সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বা ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের কেউই এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
মূলত হুথিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিজেদেরকে দেশের সরকারি সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। ২০২৩ সাল থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে এবং তার আশপাশে বিভিন্ন জাহাজ লক্ষ্য করে হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।
গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলি সরকারকে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলেও ইতোপূর্বে জানিয়েছে তারা।
তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল এবং সেই সময় থেকে লোহিত সাগরে আক্রমণ বন্ধ করে দেয় হুথিরা। কিন্তু ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবেশে ইসরায়েলের অবরোধ ও পরে আগ্রাসন পুনরায় শুরুর জবাবে গত মার্চ মাস থেকে ইসরায়েলে পুনরায় হামলা শুরু করে গোষ্ঠীটি।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, গত ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী পুনরায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইয়েমেনের হুথিরা ইসরায়েলে ১৮টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
এর মধ্যে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে হুমকি সৃষ্টি করেছিল এবং দেশটিতে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়েছিল। এছাড়া ইয়েমেনের হুথিরা বুধবার ইসরায়েলে আরও একটি ড্রোন নিক্ষেপ করার দাবি করেছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর