
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলেও এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে চীন। বরং চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক বাড়িয়ে এর পরিমাণ ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে বুধবার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
কিন্তু বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের একটি নথিতে চীনা পণ্যকে লক্ষ্য করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, চীনের ওপর ওয়াশিংটন শুল্ক বাড়িয়ে একেবারে ১৪৫ শতাংশ করেছে। হোয়াইট হাউসের নথিতে চীনের বিরুদ্ধে উচ্চ শুল্কের এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
হোয়াইট হাউসের নথিতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। তবে চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক নতুন করে বৃদ্ধি করেছেন তিনি।
প্রথম দফায় ১২৫ শতাংশ করা হলেও হোয়াইট হাউসের নথিতে চীনা পণ্যের মার্কিন আমদানির ওপর পূর্বের আরোপিত অতিরিক্ত আরও ২০ শতাংশ জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের হার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প যদি তার এই ‘‘অপমানজনক’’ শুল্ক নীতি জারি রাখেন, তাহলে চীনও ‘‘শেষ পর্যন্ত’’ লড়াই করবে। ৯ এপ্রিল মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করে চীন।
চলতি বছর মার্চে প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে ২ এপ্রিল এক ঘোষণায় জানান, চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তার পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিং। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং ৭ এপ্রিল নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, বেইজিং যদি মঙ্গলবার ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে— তাহলে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে এবং ৯ এপ্রিল বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে।
বেইজিং ট্রাম্পের হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় বুধবার থেকে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর হয়েছে বর্ধিত শুল্ক। এতে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর মোট আরোপিত শুল্ক পৌঁছায় ১৪৫ শতাংশে।
সূত্র: এএফপি, আরটি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর