
পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর মেধা ও মান যাচাইয়ের মানদন্ড। পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে যাচাইয়ের সুযোগ পান। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।
এর পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা ও আমলের মাধ্যমে পরীক্ষা ভালো হতে পারে। এখানে এমন কিছু আমল তুলে ধরা হলো—
আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য ভালোভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রেখে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি। এতে অবশ্যই সফলতা আসবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা তালাক, আয়াত : ৩)
সালাতুল হাজত
পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার আগে দুই রাকাত ‘সালাতুল হাজত’ পড়ে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বের হওয়া যেতে পারে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তখন ‘সালাতুল হাজত’ বা প্রয়োজন পূরণের নামাজ পড়তেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩১৯)
এটি পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সূরা পড়া জরুরি নয়। বরং সাধারণভাবে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিজ প্রয়োজনগুলো মহান আল্লাহর কাছে পেশ করা ও তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা।
বিসমিল্লাহ বলা
যেকোনো ভালো কাজই বিসমিল্লাহ বলে শুরু করতে হয়। তাই পরীক্ষার্থীরাও প্রশ্নপত্র গ্রহণ করার সময় এবং উত্তর লেখা শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ বলবেন। সঙ্গে দরুদ শরিফও পাঠ করে নিতে পারেন। কারণ কোনো ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর ওপর একবার দরুদ পড়লে মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন।
বিসমিল্লাহ পড়ার ব্যাপারে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, যেসব কাজ আল্লাহর নাম না নিয়ে শুরু করা হয়, সেগুলো বরকতশূন্য। কোনো বর্ণনায় আল্লাহর প্রশংসার কথাও বলা হয়েছে।
স্থিরতা অবলম্বন করা
তাড়াহুড়ার কারণে ভুল হয়। হাদিসের ভাষ্যমতে, তাড়াহুড়া শয়তানের অভ্যাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কাজে ধীরস্থিরতা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া করা শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (সুনানে বায়হাকি, হাদিস : ২০৭৬৭)।
দোয়া করা
পরীক্ষায় সঠিক উত্তর প্রদানে মহান আল্লাহর সাহায্যের জন্য মনে মনে তাঁর কাছে দোয়া করা যেতে পারে। যেমন ‘রব্বি জিদনি ইলমা’। মহান আল্লাহ নিজেই তাঁর বন্ধুকে এই দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে—‘এবং দোয়া করো, হে আমার পরওয়ারদিগার! আমাকে আরো জ্ঞান দাও। (সুরা ত্বহা: ১১৪)
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর