
বাংলা বর্ষবরণ ও বৈসাবি উৎসবকে কেন্দ্র করে সারাদেশে চলছে উৎসবের আমেজ। সারাদেশের তুলনায় বাড়তি আমেজ বইছে পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়িতে। তবে উৎসবের আমেজ নেই খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার দুর্গম দাইজ্জাপাড়া এলাকায় বসবাসরত ৮ পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মাঝে। কেননা, দৈনিক মজুরিতে যাদের সংসার চলে তাদের আবার উৎসব কীসের। নতুন পোশাক, উৎসব, নানা অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখি মেলা কিংবা বিশেষ কোন আয়োজনই এখানে পৌঁছে না। তবে ব্যতিক্রম হয়েছে এবার!
শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া বরাদ্দের আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দিতে কয়েক কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বৈসাবির উপহার পৌঁছে দিতে সেখানে ছুটে গিয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া। করেছেন নগদ অর্থ সহায়তা। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই প্রথম কোন উৎসবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সাঁওতাল পল্লির জনগোষ্ঠীরা।
এসময় সাঁওতাল নেতা ভূট্টো সাঁওতাল বলেন, এবারের পহেলা বৈশাখের আগে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। এ টাকা দিয়ে আমরা পাড়ায় অনুষ্ঠান করব এবং সকলে মিলে খাবারের আয়োজন করব।
পূজা সাঁওতাল জানান, এ সহায়তার ফলে এবার হয়ত ছেলে-মেয়েদের নতুন পোষাক কিনে দিতে পারব। এসময় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া বলেন, দুর্গম এ জনপদে বসবাসরত সাঁওতালদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে তাদেরকে সরকারি সহযোগিতায় ঘর ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বাংলা নববর্ষ ও পাহাড়ের বৈসাবী উৎসব থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। যার ফলে সকল উৎসব আয়োজন থেকে বঞ্চিত থাকা সাঁওতাল পল্লিতে এবার আনন্দ-উৎসব হবে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর