
ভোলায় চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, ডাক্তারকে গণধোলাই ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক চিকিৎসকের অবহেলায় মো. মাকসুদুর রহমান (৩৮) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে নাইমুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসককে গণধোলাই দিয়েছেন। পরে পুলিশ ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাকসুদুর রহমান সদর উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসু মিয়ার ছেলে এবং পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুকে প্রচুর ব্যথা নিয়ে মাকসুদুর রহমান ভোলা সদর হাসপাতালে আসেন। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈমুল ইসলাম ওই রোগীকে দেখে জরুরি বিভাগ থেকে নামাজের কথা বলে বাহিরে চলে যান। পরে নামাজ শেষে ঘণ্টাখানেক পর তিনি হাসপাতালে আসেন।এরপর তিনি রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, ডাক্তার নামাজ শেষ করে সিগারেট খেয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর জরুরি বিভাগে আসেন। এসে রোগীকে মৃত ঘোষণা করে ছাড়পত্রে লিখেন রোগীর মৃত্যু বাড়িতে হয়েছে। এতে ফুঁসে ওঠেন স্বজনরা।
এদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সময় রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালের সামনেই চিকিৎসক নাঈমুল ইসলামকে গণধোলাই দেন। এছাড়াও ওই চিকিৎসককে বহন করা পুলিশের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করা হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ বার্তা ২৪.কে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ফোর্সসহ হাসপাতালে ছুটে যান। রোগীর স্বজনরা কিছুটা উত্তেজিত হয়েছিলো। পরে পুলিশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করেন। কিছু সময়ের জন্য হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পরে তা পুরোদমে শুরু হয়।
চিকিৎসকের অবহেলার দায়ে মাকসুদুর রহমান নামের ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে স্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম বার্তা ২৪.কে বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল (শনিবার) সকালে আমরা আলোচনায় বসবো। কাগজপত্র দেখে চিকিৎসকের অবহেলা থাকলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ওই চিকিৎসক থানায় পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর