
যশোর সদরের পাগলাদহে এক শিশু ধর্ষণের ঘটনার একযুগ পর ধর্ষক আব্দুল আব্দুল খালেককে (৪৪) আটক করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। ধর্ষণ সংক্রান্ত ওই মামলায় তাকে আদালতে চালানও দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে শিশু ধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়া এই খালেককে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাগলাদহ গ্রামের মাঠ পাড়ায় শিশু মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন এক মা। মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে তার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে ওই গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আব্দুল খালেক। আলোচিত মাদক কারবারি এই খালেক শিশুর হাত পা বেধে বর্বর আচরণসহ ওই অপকর্ম ঘটিয়ে গা ঢাকা দেয়। তাকে আটকে ওই সময় পুলিশসহ আরো কয়েকটি সংস্থা কৌশলে সে আটক এড়িয়ে চলে। এর মধ্যে ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এদিকে ঘটনার মাস কয়েক পরে ভুক্তভোগী পরিবার অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ পাগলাদহ ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর মামলা আদালত থেকে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আটকাদেশ প্রদান করে। এরপরও পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি এক যুগ ধরে। এরপর সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে এলাকায় সে মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এরপর ১২ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির একটি টিম পাগলাদহ থেকে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ দিনই আদালতে চালান দেয়া
হয়েছে আব্দুল খালেককে।
দেশ জুড়ে সমালোচিত ঘৃণিত আব্দুল খালেক প্রায় একযুগ পর আটক হওয়ায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে সেই লোমহর্ষক ঘটনাটি। তবে বাদী ভুক্তভোগী পরিবার কার্যত এখন কোথায় এ ব্যাপারে পরিষ্কার তথ্য নেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে। তবে যেহেতু ধর্ষণ মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে সেই মামলায় তাকে চালান দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছেন, মোস্ট ওয়ান্টেড আব্দুল খালেককে আটক করে চালান দেয়া হয়েছে। বেশ আগেই ওই ধর্ষণ মামলার চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। আটকাদেশ মাথায় নিয়েই এতদিন সে পালিয়ে ছিল।
এদিকে আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, মালামাল ক্রোকের আদেশ হয়েছিল ওই খালেকের বিপরীতে। এছাড়া ওকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সরকার কর্তৃক ওই সময় পুরস্কার ঘোষণা ছিল।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর