
রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত "মার্চ ফর গাজা" শীর্ষক গণসমাবেশে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা প্রকাশ করেছে। এ ঘোষণাপত্রে গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশ সরকার ও সাধারণ জনগণের প্রতি চার স্তরের দাবিনামা উত্থাপন করা হয়।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ঘোষণাপত্রে জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, গাজায় চলমান গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার নিশ্চিত করে। যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে সম্মিলিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ফিরিয়ে দেওয়া, পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
মুসলিম দেশগুলোর সরকার এবং ওআইসিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়,ইসরায়েলের সঙ্গে সকল প্রকার অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং গাজার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসনের অধীনে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর কঠোর প্রতিবাদ এবং কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়।
এ ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—‘Except Israel’ নীতির পুনর্বহাল, ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল, গাজায় ত্রাণ পাঠানো, ইসরায়েলি পণ্য বর্জন, ভারতের মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং পাঠ্যপুস্তকে ফিলিস্তিন ও আল-আকসার ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের প্রতি চার দফা অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলা হয়,ইসরায়েল সমর্থিত পণ্য ও কোম্পানির বয়কট, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামি আদর্শে গড়ে তোলা, ত্যাগে প্রস্তুত নতুন প্রজন্ম গড়া, জাতিগত ঐক্য বজায় রাখা।
সমাবেশে গাজার শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলা হয়,তাঁদের রক্ত, ত্যাগ ও ঈমান বিশ্বকে নতুন করে সাহস জুগিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের পাশে আছে এবং গাজা যেন কখনো এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ না হয়, সে লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর