
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মণ্ডলেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার ভাই বাবুর সাথে ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলামের কথাকাটাকাটির জেরে হামলা ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও যুবদলের ৬ নেতা আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের মণ্ডলেরহাটে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া মির্জা নামের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ছাপরহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল, তার ভাই একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও বাঁধনসহ তিনজনকে আটক করেছে। তবে ঘটনার পরই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাবু।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ছাপরহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বাবুর ওষুধের দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় বাবুর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল ও মঞ্জুরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন শফিকুলের ওপর চড়াও হয় ও মারধর করে।
পরে শফিকুল জীবন রক্ষায় পাশের দোকানে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেও হামলা করে তারা। খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা শফিকুলকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের ওপরেও হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপি ও যুবদলের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়।
পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাবুর দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় নাজমুল ও তার ভাই মঞ্জুরুলসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হামলার ঘটনাটি আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাইদের পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ছাপরহাটি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মণ্ডল।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ছাপরহাটি ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মির্জা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আলম মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব। তাদের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া মির্জাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, বসার বেঞ্চে মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে উভয়ের দলীয় পদ থাকলেও ঘটনাটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার শিকার ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর