
মুসলিমরা এক দেহের মতো। মানুষের শরীরের কোনো একটি অংশে আঘাত পেলে যেমন পুরো শরীরে যন্ত্রণা হয়, ঠিক তেমনি মুসলিমদের কেউ আঘাত পেলে বা নির্যাতনের শিকার হলে অন্যরাও ব্যথিত হন, তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঈমানদারদের সাথে একজন ঈমানদারের সম্পর্ক ঠিক তেমন যেমন দেহের সাথে মাথার সম্পর্ক। সে ঈমানদারদের প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট ঠিক অনুভব করে যেমন মাথা দেহের প্রতিটি অংশের ব্যথা অনুভব করে। (মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩৪০)
হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন, যে তার বান্দাদের প্রতি দয়া করে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৭৩২)
কোথাও কোনো মুসলিম আক্রান্ত বা নির্যাতিত হলে অন্যদের উচিত যথাসম্ভব প্রতিহত করা, আক্রান্ত মুসলিমদের সাহায্য করা। প্রতিরোধ গড়া সম্ভব না হলে তাদের জন্য আল্লাহ কাছে দোয়া করা জরুরি। মজলুম মুসলমানদের জন্য কোরআনে বর্ণিত এই দোয়াটি করা উচিত সবার। দোয়াটি হলো—
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا وَ لِاِخۡوَانِنَا الَّذِیۡنَ سَبَقُوۡنَا بِالۡاِیۡمَانِ وَ لَا تَجۡعَلۡ فِیۡ قُلُوۡبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّکَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ
উচ্চারণ : রাব্বানাগফির লানা ওয়ালি-ইখওয়া-নিনাল্লা-জীনা সাবাকুনা- বিল ইমান, ওয়া-লা তাজআল ফী কুলু-বিনা গিল্লাল্লিল্লাজীনা আ-মানূ রাব্বানা ইন্নাকা গাফূরুর রাহীম।
অর্থ : হে আমাদের রব! আমাদের এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভাইদের ক্ষমা করুন। আর মুমিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের রব! আপনি তো দয়ালু, পরম দয়ালু।’ (সূরা হাশর, আয়াত : ১০)
এছাড়াও আরেকটি দোয়া করা যেতে পারে। দোয়াটি হলো—
رَّبِّ لَا تَذَرۡ عَلَی الۡاَرۡضِ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ دَیَّارً اِنَّکَ اِنۡ تَذَرۡهُمۡ یُضِلُّوۡا عِبَادَکَ وَ لَا یَلِدُوۡۤا اِلَّا فَاجِرًا کَفَّارًا رَبِّ اغۡفِرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِمَنۡ دَخَلَ بَیۡتِیَ مُؤۡمِنًا وَّ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ وَ لَا تَزِدِ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا تَبَارًا
উচ্চারণ : রাব্বি লা তাযার আলাল আরদ্বি মিনাল কাফিরিনা দাইয়্যারা, ইন্নাকা ইং-তাযালহুম, ইউদ্বিল্লু ইবাদাক, ওয়ালা ইয়ালিদু ইল্লা ফাজিরাং-কাফ্ফারা। রাব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা, ওয়ালিমাং দাখালা বাইতিয়া মু’মিনাও-ওয়ালিল মু’মিনিরা ওয়াল মু’মিনাত, ওয়ালা তাজিদি-দ্বালিমিনা ইল্লা-তাবারা।)
অর্থ : হে আমার রব! পৃথিবীতে কোনো কাফিরকে রেহাই দেবেন না। যদি তাদেরকে রেহাই দেন, তাহলে তারা আপনার বান্দাদের বিপথে নিয়ে যাবে, আর শুধু পাপাচারী কাফির জন্ম দিতে থাকবে। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে, আমার পিতামাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে, তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি জালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (সুরা নুহ, আয়াত: ২৬-২৮)
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর