রাজবাড়ী সদরের বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেফালী আক্তারকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইউনিয়নবাসী। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন অন্তত পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বানীবহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম, বাজারের ব্যবসায়ী খলিলুল রহমান খলিল, ইউনিয়ন ইমাম কমিটির সভাপতি দাউদ ব্যাপারী, যুবদল নেতা মো. মুন্সী, ছাত্র প্রতিনিধি সুমন ইসলামসহ আরও অনেকে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শেফালী আক্তার রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তার স্বামী আব্দুল লতিফ মিয়া ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। স্বামীর মৃত্যুর পর শেফালী আক্তার সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, শেফালী আক্তার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ, ভাতা কার্ডসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান বাবদ অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করেছেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর তার নির্দেশে হামলা চালানো হয়।

বক্তারা বলেন, "বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদ এখন দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত পরিষদে কোনো স্বচ্ছতা বা জবাবদিহিতা নেই।"

অবিলম্বে শেফালী আক্তারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে গ্রেফতার করে তার দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

সালাউদ্দিন/সাএ