
বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে চীন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় বিনিয়োগ করবে দেশটি।
জানা গেছে, বিশ্বের সেরা বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় এই হাসপাতাল করা হবে। চলতি মাসেই এই হাসপাতালের জন্য স্থান নির্বাচন চূড়ান্ত হতে পারে। হাসপাতাল তৈরির জন্য জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গে জমি দেখা হচ্ছে। এছাড়া রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেশে এসেছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনা সরকার বাংলাদেশের মানুষকে একহাজার শয্যার একটি হাসপাতাল উপহার হিসেবে দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই চীনের ২০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, ঢাকার উপকণ্ঠ পূর্বাচলে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল করতে চায় চীন।
তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশিদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য কুনমিংয়ে কমপক্ষে তিন থেকে ৪টি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল মনোনীত করার জন্য চীনকে অনুরোধ করেছেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ঢাকার উপকণ্ঠ পূর্বাচলে একটি পূর্ণাঙ্গ তৃতীয় স্তরের চীনা হাসপাতাল স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ জমি এবং অন্য সুবিধা প্রদান করতেও প্রস্তুত। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, চীন বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য সবকিছু করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন, চীন বাংলাদেশের জন্য সুদের হার কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। এ ছাড়া বেইজিং ঢাকার পূর্ববর্তী অনুরোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের সাথে পানিপ্রবাহসংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, চীন বাংলাদেশের সর্বকালের, সব সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু এবং তারা দৃঢ়ভাবে নির্বিশেষে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে কর্মী প্রত্যাহার এবং সাময়িক ভিসা প্রদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ফলে কিছুটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশি রোগীরা। যার ফলে দেশে চিকিৎসা নেবার পাশাপাশি অনেক রোগীই মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশি রোগী ভারত যেতে না পারায় দেশটির চিকিৎসা পর্যটন (মেডিকেল ট্যুরিজম) খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর