
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে—এটি কোনো মিলাদ মাহফিল কিংবা ইসলামি সংগীতের অনুষ্ঠান। কিন্তু না, এটি ছিল এক গায়েহলুদের অনুষ্ঠান, যা ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য এখন প্রশংসায় ভাসছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন পাটোয়ারী তার জ্যেষ্ঠ কন্যা তাছমিয়া আঞ্জুম নিধীর গায়েহলুদে প্রচলিত নাচ-গানের পরিবর্তে আয়োজন করেন পবিত্র কুরআন খতম, ইসলামি সংগীত, মিলাদ ও দোয়ার।
শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। নান্দনিকভাবে সাজানো হয় গায়েহলুদের মঞ্চ, কিন্তু মঞ্চে গানের বদলে আয়োজন করা হয় কুরআন তেলাওয়াত ও মিলাদের। এলাকার হাফেজ ও ইমামরা কুরআন খতমে অংশ নেন এবং মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে কনের হাতে পবিত্র কুরআন শরিফ তুলে দেন কনের বাবা মামুন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, "আমি চাই আমার সন্তান ইসলামি শিক্ষায় বেড়ে উঠুক। কুরআনের আলোয় আলোকিত জীবন গড়ুক। সেই চিন্তা থেকেই এই আয়োজন। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি নয়, ইসলামি মূল্যবোধই আমাদের পথ হওয়া উচিত।"
স্থানীয়রাও এমন আয়োজনে দারুণ খুশি। তাদের ভাষায়, এমন গায়েহলুদ এর আগে কখনো দেখেননি। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন সকল শ্রেণির মানুষ—শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
স্থানীয় পূর্ব বাখরপুর বাইতুল সালাত জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নূর মুহাম্মদ চাঁদপুরী বলেন, "বিবাহ ইসলামে একটি সুন্নত। তাই এর আনুষ্ঠানিকতা শরিয়ত মোতাবেক হওয়াই উত্তম। মামুন পাটোয়ারীর এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।"
দিনটি আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যখন বর মোহাম্মদ শরীফ পাটোয়ারী ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়েবাড়িতে পৌঁছান। কনেপক্ষ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়, যা যোগ করে বাড়তি আকর্ষণ।
বর শরীফ পাটোয়ারী পেশায় একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ঢাকার ডেমরা এলাকার হাজি মো. রতন পাটোয়ারীর ছেলে।
সর্বশেষ খবর