
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে বঙ্গোপসাগরে ১৫ এপ্রিল (১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত) থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সকল প্রকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময় মোট ৫৮ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় কোনো ধরনের মৎস্য আহরণ করা যাবে না।
এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকার প্রতি জেলেকে ৭৮ কেজি করে চাল দেবে—জেলেদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা হিসেবে এই বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
গত ১৬ মার্চ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সামুদ্রিক মৎস্য-২ শাখার উপসচিব এইচ এম খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণ করে জানানো হয়, "সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩" অনুযায়ী মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং টেকসই আহরণের লক্ষ্যে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স যৌথভাবে নজরদারি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মের এই সময়টি সামুদ্রিক মাছ, বিশেষ করে ইলিশের প্রধান প্রজননকাল। এ সময় মাছগুলো উপকূলবর্তী এলাকায় ডিম ছাড়ে। অতিরিক্ত মাছ ধরলে প্রজনন ব্যাহত হয়, ফলে ভবিষ্যতে উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ে। এ প্রেক্ষিতেই ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার এই গ্রীষ্মকালীন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে আসছে।
এ বছর বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারতেও ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। ফলে বঙ্গোপসাগরের বৃহৎ অংশে মাছ ধরার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সর্বশেষ খবর