
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত দেশের সবচেয়ে বড় ড্রোন শো-তে তুলে ধরা হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গৌরবময় মুহূর্তসমূহ। প্রদর্শনীতে বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো শহীদ আবু সাঈদ এবং পানির বোতল হাতে প্রতীকী মুগ্ধর ছবি তুলে ধরা হয়। তবে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের ছবি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১১টা ২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।
ফারুকী লিখেন, “আজকের ড্রোন শোতে শহীদ ওয়াসিমের ছবি না থাকায় তাদের ব্যথিত হওয়া শতভাগ যৌক্তিক। এই দুঃখ আমারও। আরও অনেককেই মিস করেছি। স্টোরিটেলিংয়ের থিমেটিক ফ্লো এবং সীমিত সময়ের কারণে কিছু ছবিকে বাদ দিতে হয়েছে। তবে কেউ দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কম বা বেশি গুরুত্ব পায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের সব শহীদই সমান। শুধু জুলাই নয়, গত ১৬ বছরে যারা গুম-খুন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের সবার ত্যাগেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এইসব মানুষ আমাদের প্রকৃত হিরো। 'জুলাই জাদুঘর' নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে সব শহীদ ও নিপীড়িতদের গল্প স্থান পাবে।”
এদিকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এক ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “সরকারি আয়োজনে আজকের ড্রোন শো-তে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধকে স্মরণ করা হলেও, একই সময়ে শহীদ হওয়া চট্টগ্রামের ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামকে উপেক্ষা করা হয়েছে।”
তিনি আরও লেখেন, “ওয়াসিম আকরাম ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মী ও ছাত্রদল নেতা। তিনি কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বরং সরাসরি ফ্যাসিবাদের পতনের লক্ষ্যে রাজপথে নেমেছিলেন। তার আত্মত্যাগ ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। অথচ পাঠ্যবই থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, এবার ড্রোন শো-তেও তার অবদান এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি উদ্দেশ্যমূলক।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের স্মৃতিচারণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কারও অবদান উপেক্ষিত হলে তা নিয়ে বিতর্ক ও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর