ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক সংগঠন ‘জার্নালিস্ট ফোরাম, ভোলা’ এর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. রায়হান কাওসার, জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান এবং জেলা পুলিশ সুপার শরীফুল ইসলামের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, জেলা বিজেপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, সুজন ভোলা জেলার সভাপতি মোবাশ্বিরুল্লাহ চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মুনতাসীর আলম রবিন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম তারেক, সিনিয়র সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলন, এ্যাডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন, মনিরুল ইসলাম, এম হেলাল উদ্দিন, ও আরও অনেকে।

সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শাহীন কাদের এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি এম শাহরিয়ার ঝিলন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন হোসেন।

বক্তারা বলেন, দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলার প্রায় ২২ লাখ মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সেবায় বঞ্চিত। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ৩৭টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক, কনসালট্যান্ট, মেডিকেল অফিসার, সার্জন ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞ পদ। ৬০টি পদের মধ্যে মাত্র ২৩ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন।

এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকে মোট ১৩৫টি চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। শিশু ইউনিটে রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি, ফলে এক বেডে ৪-৫ জন শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।

বক্তারা আরও বলেন, ভোলা সদর হাসপাতালটি ২০১৯ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনো ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে এর কার্যক্রম। তারা দ্রুত জনবল সংকট নিরসন, চিকিৎসা অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি জানান।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে ভোলার মানুষও আধুনিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না থাকে।