
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেত্রীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) কর্মীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ছাত্রী টিকলি শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো অনুমোদিত কমিটি নেই। জানা গেছে, টিকলি শরিফের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, টিকলি শরিফ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হয়ে ক্যাম্পাসে গোপনে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ছাত্রদলের কয়েকজন সদস্য তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে পুলিশে হস্তান্তর করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী—মামুন ও তরিকুলকেও আটক করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে টিকলি শরিফ বলেন, “আজ আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। লাইব্রেরিতে পড়ালেখা শেষে সন্ধ্যায় বাইরে বের হলে কয়েকজন জুনিয়রের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে চা খেতে গেলে সেখান থেকেই আমাকে আটক করা হয়।” সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে যে কেউ ভালোবাসা থেকে কোনো সংগঠনের হয়ে কাজ করতে পারে।”
ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, “টিকলি ক্যাম্পাসে ফিরে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে জুনিয়ররা তাকে আটকের পর প্রক্টরের মাধ্যমে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, “কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলি এবং অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দিই। পরবর্তী পদক্ষেপ আইন অনুযায়ী পুলিশ গ্রহণ করবে।”
সর্বশেষ খবর