
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছোনকা রহিমা-নওশের আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন করেছেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার পর্যন্ত কলেজের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংগ্রহণকারী বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ এস এম আসাদুজ্জামান নিয়োগ, টাইম স্কেল, এপি স্কেল ও স্বাক্ষর মানি বাবদ জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেছেন। এছাড়াও কলেজের তহবিল থেকে অর্থ লুটপাট করেছে। এ সময় বক্তারা অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি জানান এবং কলেজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
বক্তব্যে আরো বলেন, অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এস এম আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উঠেছে তা অত্যন্ত গুরুতর ও শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য হতাশাজনক। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি কলেজের তহবিল থেকে অর্থ লুটপাট করেছেন এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছেন যা একদিকে যেমন দুর্নীতির পরিচায়ক, অন্যদিকে তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈতিক ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এক ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি'র নেতা আব্দুল খালেক, সুঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির বিপ্লব, খামারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কায়কোবাদ, ভবানীপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াকুব রানা ছাত্রনেতা আহসান আরমান, মাহবুবুর রহমান মারুফ, শামীম আহমেদ, আরাফাত, নাফি সরকার, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বিগত সময়ের গভর্নিং বডি সভাপতির যোগসাজোসে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট করেছেন। ৫ ই আগস্ট সরকারের পতন হলে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এরপর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু এডহক কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। এই সময় কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। শহিদুল ইসলাম বাবলু অধ্যক্ষের দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য তৎপরতা শুরু করেন। ইতিমধ্যে তিনি নিয়মিত কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। কিন্তু হঠাৎ করেই শহিদুল ইসলামকে অপসারণ করে গত ১৩ এপ্রিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি চিঠি ইস্যু করে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অপসারণের আগে তাকে কোনো কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এটি অন্যায় এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। এতে প্রমাণিত হয় অধ্যক্ষ এস এম আসাদুজ্জামান কলেজে দুর্নীতি করছেন। তিনি তার অনিয়ম দুর্নীতি আড়াল করতেই সভাপতিকে সরিয়েছেন।
তাই ভিপি শহিদুল ইসলাম বাবলুকে সভাপতি পদে পুনর্বহাল এবং অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি জানান। তা না হলে আরো বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর