
নোয়াখালী জেলা সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের দেবী সিংপুর গ্রামের এক বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ীর বাড়িতে কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম পলাশের মদদে হামলা ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা শেখ আহমদ এমন অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,গেল ১৪ এপ্রিল সোমবার আমার বাড়ি থেকে আম চুরি করে সালাউদ্দিন ও পুলিশ কর্মকর্তা পলাশের ভাতিজারাসহ অনেকে। আমার বড় ছেলে আম চুরির প্রতিবাদ করায় একই দিন রাতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও হেলমেট বাহিনীর প্রধান সোহেল, সালাউদ্দিন ও সুমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে রাতের আঁধারে হামলা চালায়।
এসব অপকর্মের মদদ জোগাচ্ছে কুমিল্লায় জেলায় কর্মরত পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক(এসআই) ইব্রাহিম পলাশ। তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দোসর সালাউদ্দিনের বড় ভাই।
আওয়ামী শাসন আমলে বিভিন্ন অপকর্ম করে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে পলাশ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। আমাদের বাড়িতে হামলা হওয়ার পর এসআই পলাশের ইন্ধনে তারা উলটো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে আমার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করা হয়।
শেখ আহমদ অভিযোগ করে আরো বলেন, সোহেল চাঁদাবাজি মামলার আসামি ও সুমন হত্যা মামলার আসামি। গত ৫ আগস্টের পর তারা রাজনীতির খোলস পাল্টে একাধিক বিএনপির পরিবারের বিরুদ্ধে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। আমার এক ছেলে কুতুবেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আর ছোট ছেলে নবীপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি।
আমার পুরো পরিবার ব্যবসার সাথে জড়িত। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেকোনো সময় আমার পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় হামলা চালাতে পারে। আমি প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম পলাশ সকল অভিযোগ নাকচ করে বলেন, আপনারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন,এরপর যেটা সত্য হয় সেটা লিখেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৃঞ্চ মোহন বলেন, আমপাড়া দিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। পরে বৈঠকটি অমীমাংসিতভাবে শেষ। এখন পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর