
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শফিকুল আলমের এই আহ্বানের জবাব দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাবলী সম্পর্কে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নিপীড়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা টানার জন্য এটি একটি অসৎ প্রয়াস; যেখানে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজের অপরাধীরা এখনো অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এ ধরনের অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে বাংলাদেশ তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করলে সেটা আরো ভালো হবে।
প্রসংগত, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জিন-বুদ্ধিজীবীদের সভায় এই সহিংসতার জন্য বাংলাদেশকে দোষারোপ করেন।
তার দাবি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করে চক্রান্ত করে সেখানে অশান্তি লাগিয়েছেন। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে উত্তর প্রদেশসহ দেশটির আরো কিছু অঞ্চলে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের নানা তথ্য গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর